Header Ads

Header ADS

One Day Tour in Savar | সাভারে এক দিনের সফর


Smrity Soudho in savar


ঢাকার বদ্ধ বাসায় বসে থাকতে থাকতে জীবন একদম বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল । হঠাৎ করে একদিন  প্লান করলাম সাভার  ঘুড়তে যাবো । যে প্লান সেই কাজ দুইদিন পর ১০ ডিসেম্বর আমরা সাভার  ঘুরতে গেলাম। যাবার কথা ছিল ৮ টা বাজে কিন্তু ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠি কারন ঘড়িতে তখন বাজে ১০ টা। তাড়াতাড়ি আমরা সবাই রেডি হই এবং সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আমরা চার বন্ধু সাভার যাবার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হই।  ফার্মগেট থেকে আমরা লাব্বাইক বাসে করে সাভার যাই । সাভার যাওয়ার ভাড়া ৫০ টাকা হওয়ার পর ও আমরা  ২৫ টাকা করে দেই , কারন আমরা সবাই ছিলাম ছাত্র। ফার্মগেট থেকে সাভার যেতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। আমরা বেলা ১২ টার সময়  সাভার পৌছাই। তারপর আরও ১০ মিনিট  ঐ একই বাসে যাবার পর আমরা সাভার নবীনগরে পৌছাই । বাস থেকে নামার পর আমরা সরাসরি স্মৃতিসৌধ দেখতে যাই । স্মৃতিসৌধের গেটের  কাছে  যাবার পর আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে যাই,কারন আমাদের কপাল এতটাই খারাপ ছিল যে ১০ তারিখ থেকেই ৫ দিনের জন্য স্মৃতিসৌধ বিজয় দিবস উপলক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের জন্য  জনসাধারণের  প্রবেশ নিষেধ  করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরে আমাদের আর কি করার  ”দুধের স্বাদ ঘলে মিটালাম” বাইরে থেকেই স্মৃতিসৌধ দেখেই মনের স্বাদ মিটাতে হলো । কিছুক্ষন স্মৃতিসৌ্ধের আশে পাশে ঘুড়াঘুড়ি করার পর জাহানঙ্গীরনগর যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু কোন গাড়িতে যাবো তা ভেবে না পেয়ে হেটেঁ যাবার সিদ্ধান্ত নেই। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে যাই। যাবার সময়  রাস্তার পাশে একটা হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খাই। খুবই অল্প টাকায় আমরা দুপুরে ডিম খিচুরী খাই। বেলা ২ টার সময় আমরা জাহানঙ্গীরনগর জয় বাংলা গেট (১ নং) গেটে পৌছাই। জাহানঙ্গীরনগরের অপরুপ দৃশ্য দেখে সবার মন ভরে যায়। সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায় । আমরা সবাই ঘু্রে ঘুরে জাহানঙ্গীরনগরের অপরুপ দৃশ্য দেখতে থাকি । পুকুরে লাল শাপলা আর শাপলার উপরে অথিতি পাখির নাচ দেখতে কি মনোরম দৃশ্য যা কখনো ভুলার মতো না । আর জাহানঙ্গীরনগর পুরো এলাকা জুরে পাখির কল-কাকরিতে মুখরিত। ছায়ায় ঢাকা  জাহানঙ্গীরনগর সবার হৃদয়  কাড়ে। জাহানঙ্গীরনগরে থাকা পুরোটা সময় কিভাবে কেটে যায় তা আমরা কেউ বুঝতে পারি না। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে আর আমাদের ও  ঘরে ফেরার সময় হয়ে যায়। আমরা বাসায় ফেরার জন্য জাহানঙ্গীরনগরের প্রান্তিক  গেট দিয়ে বের হই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের কাক্ষিত বাস টি আসে এবং আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।


পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই সাভারে ভ্রমন করার মতো অনেক জায়গা  থাকলেও স্মৃতিসৌধ এবং জাহানঙ্গীরনগর এর মতো এতো সুন্দর জায়গা নাই। যেখানে বার বার মন ছুটে যেতে চায়।  

আমার এই ব্লগ টি কেমন লাগলো সেটা জানাতে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিতে পারেন ,আমাদের সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবপেজের ডান পাশে সাবসক্রাইব বাই ইমেইল বক্সে ইমেইল সাবমিট করতে পারেন।

লেখকঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক,
মোহাম্মদ রুবেল মোল্লা

No comments

Powered by Blogger.