ছাত্র জীবনে আউটসোর্সিং | Outsourcing in student life
ফ্রিল্যান্স আউটসোসিং নিয়ে অনেকে অনেক কিছুই লিখেছেন।
আমি সামান্য কিছু উদাহরন তুলে ধরবো এই লেখার মাধ্যমে । ফ্রিল্যান্সিং করার
আগে আমাদের জানতে হবে ফ্রিল্যান্সি কি ? ফ্রিল্যান্সিং খায় নাকি
মাথায়
দেয় ? আসলে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি
মুক্ত পেশা । এখানে মানুষ তার ইচ্ছা মতো সময়ে কাজ করতে পারে।
আবার প্রশ্ন হতে পারে মুক্ত পেশা কী ? মুক্ত পেশা হলো নিজের ইচছা মতো কাজ করা । যেমন আমার
ওয়েব
ডিজাইন করতে ভালো লাগে না কিন্তু গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন
করতে ভালো লাগে । আমার চাকরী হলো ওয়েব ডিজাইন কম্পানীতে তাহলে আমি কি গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন করতে পারবো।
কখনোই পারবো না । আমি যদি গ্রাফ্রিক্স ডিজাইন
করি তাহলে আমার কম্পানী থেকে বের করে দিবে্ এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু
আমি যদি একই কাজ টা ফ্রিল্যান্সিং এ করি তাহেলে আমার কিছুই হবে না।
আমি আমার ইচ্ছা মতো যেকোনো কাজ করতে পারবো ।
এ সময়ে
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
পড়া-লেখা শেষ করে র্পূণকালীন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে অনেকেই কাজ শুরু করেছেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে
দুইটি ভালো দিক হলো পড়া-লেখার পাশাপশি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।
আর পড়া-লেখা শেষ করার পর একটা
চাকরী জন্য বসে থাকতে হয় না।
ছাত্র দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ফ্রিল্যান্স আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে পুজি বিহীন ইনকাম করা যায়।
আবার যদি আমরা ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ হতে দেখি তাহলে ফ্রিল্যান্স আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে অল্প পুজিতে অনায়াসে একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করানো যায়।
এ জন্য দরকার কয়েকটি কম্পিউটার ,ইন্টানেট সংযোগ,ইংরেজীতে পারদর্শী এবং আই দক্ষ জনবল।যা প্রতি বছরই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বের হচ্ছে ।
দক্ষতার দিক থেকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য দেশ থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই।
বেসিস (বাংলাদেশ
এসোসিয়েসন অব
সফটওয়্যার এন্ড
ইনফরমেশন সার্ভিসেস
)
একটি জরিপ অনুসারে দেখা গেছে ১ লাখের ও বেশী বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার সারা বিশ্ব জুরে কাজ করে । আবার জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক
(www.oDesk.com) এর একটি
জরিপে দেখা যায় অনলাইন কর্মী ১০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম ।
কোথায়
ফ্রিল্যান্সিং করবো
: আমারা
যেখানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবো সেই জায়গা টা কে বলা হয় মার্কেটপ্লেস ।মার্কেটপ্লেসে
নানা রকম কাজের অফার দেওয়া থাকে সেখানে বিড করে কাজ নিতে হয় বা ক্লায়েন্ট
আপনাকে
মেসেজ করে কাজ দিবে।
নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লের নাম দেওয়া হলো:
- www.Freelancer.com
- www.upwork.com
- www.fiverr.com
- www.peopleperhour.com
- www.99design.com
- www.graphicriver.com
- www.ifreelancer.com
উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলো ছাড়ারো ও আরও
অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার রা কাজ করতে পারেন।
কখন ফ্রিল্যান্সিং
করবো: ফ্রিল্যান্সিং সাধারনত রাতের বেলা করা ভালো । তাছারা কাজ পাবার পর যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন ।আবার
প্রশ্ন করেতে পারেন কতোক্ষন কাজ করা লাগবে ? একটা কথা আছে
“ যেমন
কর্ম তেমন ফল’’ ঠিক তেমনী আপনি যে রকম কাজ করবেন সে রকমের ইনকাম
করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে
কী ধরনের
কাজ করা
লাগে: ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কিছু
নিদিষ্ট
কাজ রয়েছে । যেখান থেকে আপনি আপনার মনের মতো কাজ টা বেছে নিতে পারেন।
নিচে কিছু কাজের নাম বলা হলো:
Graphic
design
Logo
design,business card design,Poster,Bennar,Flyer,photo edit etc.
Web
design
Programing
Data
entry
উপরোক্ত কাজ গুলো ছাড়াও আরও অনেক কাজ রয়েছে । যা আমরা করতে পারি।
ফ্রিল্যান্সিং
করে ইনকাম
কেমন হয়
: বেসিস(বাংলাদেশ
এসোসিয়েসন অব
সফটওয়্যার এন্ড
ইনফরমেশন সার্ভিসেস
)
একটি জরিপ অনুসারে দেখা গেছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার রা প্রতিদিন এক(১)কোটি ইনকাম
করে নগত অর্থ সংগ্রহ করে।
এই জরিপ থেকে বোঝা যায় যে ফ্রিল্যান্সার রা কেমন টাকা ইনকাম করে।
তাছারা আপনি যেমন কাজ করবেন তেমনি ইনকাম করবেন।
কতোক্ষন
ফ্রিল্যান্সিং করা
লাগে :
আসলে
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনো নিদিষ্ট টাইম নাই । যেকোনো টাইমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
যেহেতু আমরা ছাত্র তাই আমরা টাইম পাই না।
আসলে এই কথাটা ভূল।
আমরা টাইম পায় কিন্তু সঠিক ব্যবহার করতে পারি না।
আসুন সময় টা বের
করি ,
আমাদের কলেজ ৭ ঘন্টা,বাসায় পড়া-লেখা করি ৪ ঘন্টা,
ঘুমায় ৬ ঘন্টা,ধরেন আরও ২ঘন্টা অন্যান্য কাজ করি।
তাহলে মোট সময় হলো (৭+৪+৬+২)
১৯ঘন্টা।
বাকি রয়ল ৫ ঘন্টা ।এই
৫ঘন্টার মধ্য ৪ ঘন্টা যদি কাজ করি তাহলে সফল হওয়া যাবে
।
ছাত্র জীবনে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অসুবিধা : ছাত্র জীবনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের
হাজার
টা
সুবিধা
থাকলেও
কিছু
অসুবিধা
রয়েছে
। যা
খুবই
মারাক্তকর
। যেমন
ফ্রিল্যান্সিং
করার
পর
পড়া-লেখা থেকে মন টা
সরে যেতে পারে।আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেকে পড়া-লেখা ছেড়ে দেয়।
পরিশেষে
: আমরা
যেহেতু ছাত্র তাই আমাদের প্রথম কাজ হলো লেখা-পড়া করা তার পরে অন্য কিছু।
আমরা এমন কোনো কাজ করবো না যাতে আমাদের লেখা পড়া নষ্ঠ হয়।আমরা লেখা-পড়া পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং
করতে
পারি
তাহলে
করবো
অন্যথায়
করবো
না। যেহেতু আমরা
কম্পিউটাররে
ছাত্র
তাই
আমাদের হাজার টা দরজা
সব
সময়
খোলা
। কবির
মতো
বলতে
হয়
”একটি জানালা একটি দৃশ্য,
একটি কম্পিউটার সারা বিশ্ব”
আমার এই ব্লগ টি কেমন লাগলো সেটা জানাতে নিচের কমেন্ট বক্সে মতামত জানিয়ে দিতে পারো ,আমাদের সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবপেজের ডান পাশে সাবস্ক্রাইব বাই ইমেইল বক্সে ইমেইল সাবমিট করতে পারো ।
লেখকঃ
-মোহাম্মদ রুবেল মোল্লা
AWESOME
ReplyDelete